যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগের মধ্যে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং। বুধবার সকালে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।
বুধবার (১২ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান অনুপ্রবেশের পর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে পিয়ংইয়ং এ পরীক্ষাটি চালিয়েছে। এ ছাড়া মার্কিন বিমানগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করারও হুমকি দিয়েছে দেশটি।
যদিও ওয়াশিংটন অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে তাদের সামরিক টহলের অংশ ছিল এ বিমানগুলো যা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে দেশটির অজানা স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ হয়েছে। এটি কোরীয় উপদ্বীপের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে এবং জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে সকাল ১১টা ১৩ মিনিটের দিকে জাপান সাগরে বিস্ফোরিত হতে পারে।
বুধবার সকালে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অন্তত ৭৫ মিনিট উড়তে পারে। এটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে টোকিও। দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সত্যতা নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি।
এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া গত বছর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জাতিসংঘের।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোরীয় উপদ্বীপে নিরাপত্তা উত্তেজনা বেড়েছে।
পিয়ংইয়ংয়ের একাধিক উৎক্ষেপণ এবং তার অস্ত্র বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া এই এলাকায় যৌথ সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে।