দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে সাবমেরিন পাঠানোর প্রতিবাদে দ্বিতীয় দফায় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নির্দেশে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটির পরিসীমা ১৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি ছিল বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এ নিয়ে ১২ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানান, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছের একটি এলাকা থেকে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা পর হোক্কাইডো দ্বীপের পশ্চিম সাগরে গিয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে জাপানের কোস্টগার্ড। জাপানের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছয় হাজার কিলোমিটারের বেশি উচ্চতায় উঠেছিল বলে জানায়।
জাপান কর্তৃপক্ষ প্রথমে এটিকে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হিসেবে মনে করে। পরে দেশটির সংসদীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী শিঙ্গো মিয়াকে বলেন, “উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এটি আইসিবিএম শ্রেণির একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্রটির পরিসীমা ১৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এ পরিসীমার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া এ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৭৩ মিনিট উড়েছিল।”
উত্তর কোরিয়ার এ পদক্ষেপে তারা দূরপাল্লার অস্ত্র তৈরি করে তার অস্ত্রভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। তারা এমন দূরপাল্লার অস্ত্র তৈরি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে।
রোববার রাতে উত্তর কোরিয়া একটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সমুদ্রে পড়ে।