রুপালি পর্দার কেউ না, তিনি বাস্তবের রানী। তার জনপ্রিয়তা কোনো চলচ্চিত্র তারকার থেকে কম নয়। তিনি সুন্দরী তো বটেই। সেই সঙ্গে তার চেহারায় রয়েছে আভিজাত্য। বরাবরই তার উজ্জ্বল উপস্থিতি নজর কাড়ে। তিনি সাধারণ কেউ নন। তিনি রাজকন্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রাজকুমারীকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই।
কে এই রাজকুমারী? যার রূপের ছটায় মোহিত সকলে। তিনি হলেন দুবাইয়ের রাজকুমারী শাইখা মাহরা বিনত মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। সংক্ষেপে সবাই তাকে শাইখা মাহরা নামেই চেনেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদের মেয়ে তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এ সব তথ্য জানিয়েছে।
১৯৯৪ সালে দুবাইয়ে জন্ম মাহরার। রাজকুমারী তিনি। ফলে ছোট থেকেই রাজকীয় পরিবেশেই বড় হয়ে ওঠা তার। ব্রিটেনের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন মাহরা। এই বিষয়ে তার ডিগ্রিও রয়েছে। সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে রাজকুমারীর। মাহরার বিয়ের খবরে উচ্ছ্বসিত তার ভক্তরা।
রাজকুমারী বলে কথা! মাহরা যেসব সময় প্রচারের আলোয় থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এর ব্যতিক্রমও ঘটেনি। দুবাইয়ে কোথাও গয়নার বিপণীর উদ্বোধন হোক কিংবা কোনো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান— সর্বত্রই ঝলমলে উপস্থিতি মাহরার। রুপালি পর্দার তথাকথিত নায়িকাদের মতোই বেশ ফ্যাশনিস্তা মাহরা। বিভিন্ন ধরনের পোশাকে প্রায়শই নিজেকে মেলে ধরেন এই রাজকুমারী।
ইনস্টাগ্রামে মাহরার নানা ছবিতে মজে তার অনুরাগীরা। দেখে মনে হবে যেন, কোনো মডেল। ইনস্টাগ্রামে ১ লাখের বেশি অনুরাগী তার। ঘোড়ার প্রতি মাহরার আলাদা প্রেমও নজর কেড়েছে। তার বাবার মতোই ঘোড়া ভালবাসেন মাহরা। আর এর আভাস পাওয়া গেছে ইনস্টাগ্রামে। ঘোড়ার সঙ্গে মাহরার বিভিন্ন ছবি দেখা যায়।
দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। বরাবরই দুঃস্থদের পাশে থাকেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং ফ্যাশন শোতে অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছে তাকে। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণসহ অন্যান্য সামাজিক কাজেও তিনি বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি শাইখা মাহরা একই রাজবংশের ‘শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুম’কে বিয়ে করেছেন।
আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নবদম্পতির জন্য বরের বাবা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদের লেখা একটি সুন্দর কবিতা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বিয়ের এই ঘোষণা দেন রাজকুমারী শাইখা। শেখ মানাও নিজের ইনস্টাগ্রামে একই কবিতা পোস্ট করেন।
বিয়ের ঘোষণায় বলা হয়েছে, রাজপরিবারের দুই সদস্যের কাবিননামা সই অনুষ্ঠানের জন্য এই কবিতা লেখা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন করা হবে দাপ্তরিকভাবে এখন পর্যন্ত তা নিশ্চিত করা হয়নি।