থাইল্যান্ডের আইনপ্রণেতারা ধনকুবের ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্নকে (৩৭) তাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
পেতংতার্নের নিয়োগের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের বিতর্কিত ও প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য দেশের শাসনভার পেলেন। সাংবিধানিক রাজতন্ত্র অনুসরণ করে থাইল্যান্ড।
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত আগের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে বাধ্য হয় দেশটির পার্লামেন্ট। স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার মন্ত্রিসভায় এমন একজনকে স্থান দিয়েছিলেন, যিনি এর আগে ফৌজদারি অপরাধে ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।
বাবার সঙ্গে পেতংতার্ন
দীর্ঘ সময় ধরে থাইল্যান্ডে সামরিক বাহিনী, রাজতন্ত্রের প্রতি অনুগত রাজনৈতিক দল ও থাকসিনের সমর্থক এবং সংস্কারবাদী দলগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থাকসিনের দল ফেউ থাই পার্টি পেতংতার্নকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয়। জোটের অন্য ১০ দলের কেউ কোনো প্রার্থী দেয়নি। পার্লামেন্টে তৃতীয় বৃহত্তম দল ভুমজাইথাই জানায় তারা শুক্রবারের সংসদীয় ভোটে ফেউ থাই পার্টির প্রার্থীকেই সমর্থন জানাবে।
২০২২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের আগে পেতংতার্ন তার পরিবারের হোটেল ব্যবসা দেখভাল করতেন। গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে দলীয় কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
সে নির্বাচনে প্রগতিশীল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। তারা অঙ্গীকার করে, দেশে রাজতন্ত্রের প্রভাব কমাবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা একচেটিয়া ব্যবসা ও শিল্পখাতগুলোকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।