সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খুঁজে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। তবে তিনি নতুন সিইওর নাম ঘোষণা করেননি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওই নারী সিইও দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। আর মাস্ক থাকবেন প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তার (সিটিও) ভূমিকায়।
শুক্রবার (১২ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এক টুইটে মাস্ক স্পেসএক্স ও টুইটারের জন্য একজন নতুন সিইও খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দেন। আনুমানিক ছয় সপ্তাহের মধ্যে নতুন সিইও কাজ শুরু করবেন বলে তিনি জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি একজন নতুন প্রধান নির্বাহী পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। আর এরপরই মাস্ক হবেন টুইটারের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও)। রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কেনা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে করা এক টুইটে তিনি এসব খবর সামনে আনেন।
এ জল্পনার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিলিকন ভ্যালির এক নির্বাহী এবং হলিউডের এক সাবেক নির্বাহী বলেছেন, কমকাস্টের এনবিসি ইউনিভার্সালের শীর্ষ বিজ্ঞাপন বিপণন নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনোকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মাস্কের পছন্দ হতে পারে।
লিন্ডা বিজ্ঞাপন শিল্পের একজন স্বনামধন্য নেতা। গত মাসে মায়ামিতে একটি বিজ্ঞাপন সম্মেলনে মাস্কের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। জানতে চাইলে এনবিসি ইউনিভার্সালের একজন মুখপাত্র বলেন, লিন্ডা অন্য একটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
একজন কর্মচারী বলেন, বৃহস্পতিবার টুইটার কর্মীদের মধ্যে আলাপে ইয়াহুর সাবেক সিইও মারিসা মায়ারকে নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছিল।
শুক্রবার এক টুইট বাতায় মাস্ক বলেন, “আমি স্পেসএক্স ও টুইটারের জন্য একজন নতুন সিইও নিয়োগ দিয়েছি ঘোষণা দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত। তিনি আনুমানিক ছয় সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করবেন! আমার ভূমিকা এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং সিটিও হিসাবে রূপান্তরিত হবে। যা পণ্য ও সফটওয়্যার তত্ত্বাবধান করবে।”
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। এমনকি মাইক্রোব্লগিং এই প্ল্যাটফর্মে নানা পরিবর্তনও এনেছেন মার্কিন এই ধনকুবের।
আর এসব কারণেই টুইটারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে বেছে নিতে এবং নিজের অন্যান্য ব্যবসায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য চাপের মধ্যে রয়েছেন ইলন মাস্ক। গত বছর টুইটার ব্যবহারকারীরা একটি অনলাইন পোলে মাস্ককে টুইটারের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য ভোট দেওয়ার পরে তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ এমন চাকরি চায় না যে আসলে টুইটারকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।’
অবশ্য মাস্ক দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা বললেও সেটি কখন হবে বা হবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। তবে মাস্কের এই ঘোষণার পর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে। মাস্ক এর আগে টুইটার কেনার পরে টেসলাকে ত্যাগ করার এবং গাড়ি কোম্পানির ব্র্যান্ডের ক্ষতি করার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন।