যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধী লেবার পার্টির ব্যাপক জয়ের পর বেশ দ্রুততার সঙ্গে ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটছে।
খবর বিবিসির।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান কনজারভেটিভ দলের নেতা ঋষি সুনাক।
এর কিছুক্ষণ পরেই রাজার সঙ্গে দেখা করেন কিয়ার স্টারমার। এ সময় তাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাজা।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়ে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, ইটের ওপর ইট গেঁথে দেশের অবকাঠামো পুনর্গঠন করা হবে। খেটে খাওয়া পরিবারগুলো যাতে জীবন চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। লেবার এমপি অ্যাঞ্জেলা রেনারকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন ডেভিড ল্যামি। আর দেশটির প্রথম নারী চ্যান্সেলর হিসেবে ঘোষণা হয়েছে রাসেল রিভসের নাম।
দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ইয়ভেট কুপারকে মনোনীত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন হিলি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং ও আইন মন্ত্রী হিসেবে শাবানা মাহমুদের নাম ঘোষণা হয়েছে। আর শিক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন ব্রিজেট ফিলিপসন এবং এড মিলিবেন্ড মনোনীত হয়েছেন জ্বালানি মন্ত্রী হিসেবে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন র্যাচেল রিভস্। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে এ ব্যাপারে অবগত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “খুব বেশি টাকা-পয়সা রেখে যাচ্ছেন না পূর্বসূরীরা’।
এদিকে ব্রিটেনে সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে মোট আসন সংখ্যা ৬৫০টি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৩২৬টি আসনে বিজয়ী হতে হয়।
প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, লেবার পার্টি ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে। আর কনজারভেটিভ পার্টির ঘরে গেছে ১২১টি আসন।
২০১৯ সালের তালিকা থেকে টোরিরা ২৫০টি আসন খুইয়েছে এবার। আর লেবাররা গত নির্বাচনের তুলনায় ২১১ টি আসন বেশি পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করেছে। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ৭১টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এর বাইরে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নয়টি আর রিফর্ম ইউকে চারটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হয়েছে।