হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। এরই মধ্যে ইসরায়েলের তিন শতাধিক মানুষ হামলায় নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলায় ২৩০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোর আলোচনা চলছে।
শনিবার হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানায়।
রোববার সকাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র একটি ঘোষণা দিতে পারে বলে ইঙ্গিত রয়েছে ওই হোয়াইট হাউস কর্মকর্তার বক্তব্যে। তবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে স্পিকার ম্যাককার্থি সরে যাওয়ায় নেতৃত্বশূন্য হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি জটিলতা তৈরি করতে পারে।
হামাসের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, “ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অপরিবর্তিত রয়েছে।”
ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন ‘পাথর কঠিন’। যেকোনো পরিস্থিতিতে তা অটুট থাকবে।”
বাইডেন আরও বলেন, “ইসরায়েলের নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। এটাই শেষ কথা। ইসরায়েলের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ কোনো পক্ষের জন্য এ আক্রমণগুলোকে কাজে লাগানো কিংবা সুবিধা চাওয়ার মুহূর্ত এটা নয়। যা ঘটছে, বিশ্ব দেখছে।”
শনিবার সকালে হামাস গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালায়। এরপর জবাবে পাল্টা বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের জনগণের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। এ যুদ্ধে আমরাই জিতব।’