পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে মানসেহরা আসনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র অনুমোদন করেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়নপত্র নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
মানসেহরা আসনে নওয়াজের মনোনয়নপত্র অনুমোদন করা নিয়ে আপত্তি জানান পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) নেতা আজম সোয়াতি। তবে সে আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাগজপত্র প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেন।
পিটিআই নেতা সোয়াতি যুক্তি দিয়ে বলেন, পিএমএল-এন নেতা নওয়াজকে সুপ্রিম কোর্ট আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেন। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র অনুমোদনের এখতিয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার নেই। তবে এ যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে নওয়াজ শরিফকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এদিকে তোশাখানা মামলাকে কেন্দ্র করে লাহোরে জাতীয় পরিষদের ১২২ নম্বর আসনে ইমরান খানের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হলেও পরে সাজা স্থগিত করা হয়।
ইমরানের মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে যুক্তি দেখানো হয়, আদালত শুধু সাজা স্থগিত করেছেন, কিন্তু অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।
জাতীয় পরিষদের ১২৭ নম্বর আসনে পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির মনোনয়ন নিয়েও আপত্তি উঠেছে। তবে বিলাওয়ালের প্রতিনিধি ইরফান কাদির বলেন, পিপিপি প্রধানের মনোনয়নপত্র নিয়ে যিনি আপত্তি জানিয়েছেন, ওই আসনের নিবন্ধিত ভোটার নন তিনি। তবে এ দুই মনোনয়ন নিয়ে যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা এখনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি।