অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বুধবার (২৯ নভেম্বর) পাকিস্তান হাইকোর্টের এ রায়ের কথা জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ডন।
পাকিস্তানের আগামী সাধারণ নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলের জন্য এটি অনেক স্বস্তির সংবাদ বলে মনে করা হচ্ছে।
নওয়াজের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান আওরঙ্গজেবের দুই সদস্যের বেঞ্চ।
২০১৬ সালে পানামা পেপারসে লন্ডনে অভিজাত এলাকা পার্ক লেনে অ্যাভেনফিল্ড হাউসে নওয়াজের চারটি ফ্ল্যাট থাকার তথ্য প্রকাশ হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, তিনি এসব ফ্ল্যাট কেনার অর্থের বৈধ আয় দেখাতে পারেননি।
পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে রাষ্ট্রীয় যেকোনো পদের জন্য আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে আদালতের রায়ের কারণে নওয়াজকে দলীয় প্রধানের পদও ছাড়তে হয়।
অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে (এনএবি) সহযোগিতা না করার কারণে অতিরিক্ত এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান নওয়াজ। এরপর চার বছর যুক্তরাজ্যেই ছিলেন তিনি। গত মাসে দেশে ফিরে অ্যাভেনফিল্ড মামলায় আগের করা আপিল আবেদনটি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান নওয়াজ।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জানান, চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে থাকাকালে বিচার কার্যক্রম না হওয়ায় আপিল আবেদনটি বাতিল হয়ে গেছে। গত মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট আপিল আবেদন পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) আদালত নওয়াজ শরিফের আবেদন মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “খোদার কাছে শুকরিয়া জানাই। আমি সবকিছু তার দরবারে ছেড়ে দিয়েছিলাম। খোদাই আজ আমাদের বিজয়ী করেছেন।”
নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, “এ রায় দেখিয়ে দিয়েছে যে খোদার প্রতি অটল বিশ্বাস রাখা মানুষদের পাশে তিনি আছেন।”