রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি দিমিত্রি মেদভেদেভ সতর্ক করে বলেছেন, ন্যাটো সদস্যদের কাছ থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কাছাকাছি নিয়ে আসছে। পশ্চিমা সামরিক সহায়তা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিজয়কে ঠেকাতে পারবে না।
বুধবার (১২ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মেদভেদেভ বলেন, কিয়েভকে বর্ধিত সহায়তা দেওয়ার কারণে ইউক্রেনে মস্কোর যে লক্ষ্য তা অর্জন রোধ করতে পারবে না। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মস্কোর লক্ষ্য সম্পর্কে অনুরূপ হুঁশিয়ারি জানান। যুদ্ধ বন্ধ করার কোনো ইচ্ছে মস্কোর নেই।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে মেদভেদেভ লিখেছেন, পশ্চিমারা একেবারে উম্মাদে পরিণত হয়েছে। তাদের নতুন কিছু করার নেই, তারা ধ্বংসে দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাছে চলে আসছে। আমাদের জন্য এটি কি অর্থ বহন করছে? সব কিছুই স্পষ্ট। সেই একই লক্ষ্য অর্জনে ইউক্রেনে আমাদের বিশেষ সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মেদভেদেভ আরও বলেছেন, মস্কোর লক্ষ্য হচ্ছে কিয়েভে ‘নতুন নাৎসি গ্রুপকে’ ন্যাটোতে যোগদান রোধ করা। এখন ন্যাটোতে কিয়েভের যোগদান করা অসম্ভব। এবং ইউক্রেন সরকারকে সরিয়ে দেওয়া এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ মঙ্গলবার বলেছেন, পশ্চিমারা মস্কোকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করতে ইউক্রেনকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করায় এ যুদ্ধ বন্ধ হবে না। ইন্দোনেশিয়ার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ আরও বলেন,‘ইউক্রেনের লড়াই কেন বন্ধ হচ্ছে না? এর উত্তর খুবই সহজ, পশ্চিমারা যতদিন তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং তাদের পুতুল ইউক্রেনকে দিয়ে রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করার কথা চিন্তা পরিত্যাগ না করবে ততদিন যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
২০০৮-২০১২ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় মেদভেদেভকে উদার আধুনিক ব্যক্তি বলে মনে করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তিনি নিজেকে ক্রেমলিনের সবচেয়ে কট্টর পশ্চিমা বিরোধী হিসেবে তুলে ধরেছেন। গত জানুয়ারিতে তিনি হুমকি দেন যে, প্রচলিত অস্ত্র ব্যর্থ হলে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হতে পারে। কূটনীতিকরা বলেছেন, তার দৃষ্টিভঙ্গিতে ক্রেমলিনের শীর্ষ এলিটদের মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটেছে।