নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) মহাপরিচালক জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে সব সদস্যের সম্মতি রয়েছে। নরওয়ের রাজধানী অসলোয় জোটটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই স্টোলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটোর সম্প্রসারণে ভেটো দেওয়ার অধিকার নেই মস্কোর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত মাসে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটটিতে যোগ দেয় ফিনল্যান্ড। তবে তুরস্কের বিরোধিতার কারণে সদস্য হতে পারেনি সুইডেন। জোটটিতে যোগ দিতে সদস্য সব দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়।
স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা সফর করে সুইডেনের সদস্য হওয়ার পথ পরিষ্কার করবেন তিনি। সুইডেনকে সদস্য করতে বিরোধিতা করেছে হাঙ্গেরি ও তুরস্ক।
গত বছর ন্যাটো জোটের সদস্য হতে আবেদন করেছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূলত নীতিতে বদল এনেছিল দেশ দুটি। কোনো সামরিক জোটে না যাওয়ার নীতি থেকে সরে আসে তারা।
এদিকে মলদোভায় ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের (ইপিসি) সম্মেলনে জরুরি ভিত্তিতে সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য পদের দাবির পুনরাবৃত্তি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সম্মেলনে যোগ দিতে এসে ইউরোপীয় নেতাদের সতর্ক করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘কিয়েভকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে তারা কোনো সন্দেহ প্রকাশ করলে রাশিয়া আরও দেশে হামলা চালাতে উৎসাহ পাবে। গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা পদক্ষেপ অথবা আমাদের ঐক্য সম্পর্কে সন্দেহ থাকতে পারে। তবে প্রতিটি সন্দেহ আরও বেশি নিরাপত্তাহীনতা বয়ে আনবে। ন্যাটোর সদস্য পদ পেতে সুস্পষ্ট আমন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রয়োজন।’
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে হয়েছে ইপিসি সম্মেলনের কেন্দ্র। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর বাইরের ৪৭টি দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইপিসি। এই জোটে রাশিয়া ও বেলারুশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এছাড়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর সীমান্ত অতিক্রমের একাধিক চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী। মস্কো বলেছে, বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের আক্রমণের চেষ্টা পণ্ড করা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিমান ও গোলাবর্ষণ করে ইউক্রেনীয় সেনাদের রুশ ভূখণ্ডে প্রবেশ ঠেকানো হয়েছে।