বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাসোনে ‘পূর্ণিমা দিবস’ উপলক্ষে ২ হাজার ১৫৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিত করার ‘অপরাধে’ কারাবন্দী ছিলেন। বুধবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার এসব কারাবন্দীকে ক্ষমা ঘোষণা করে।
বুধবার (৩ মে) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ভিন্নমতকে উৎসাহিত করার ‘অপরাধে’ কারাবন্দী ২ হাজার ১৫৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
সামরিক জান্তা এক বিবৃতিতে বলেছে, কাসোনে পূর্ণিমা দিবস উপলক্ষে দণ্ডবিধি ৫০৫ (এ)-এর অধীনে সাজা ভোগ করা ২ হাজার ১৫৩ জন বন্দিকে ক্ষমা করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী ‘মানুষের মনে শান্তি এবং মানবিক কারণে’ ক্ষমার আদেশ দিয়েছে। তবে যারা আবারও একই অপরাধ করবে তাদেরকে জরিমানাসহ বাকি সাজা ভোগ করতে হবে।
দণ্ডবিধি ৫০৫ (এ)-এর অধীনে অপরাধীরা সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড পেয়ে থাকে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলের পর থেকে ভিন্নমতকে দমন করছে জান্তারা।
একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, সামরিক বাহিনী অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে ২১ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এ জন্য যে আইন ব্যবহার করেছে তাতে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ১৭০ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সাধারণত জাতীয় ছুটির দিন এবং বৌদ্ধ উৎসব উপলক্ষে হাজার হাজার বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়ে থাকে।