রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময় তিনি মুসলিম দেশগুলো থেকে অভিবাসন নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছিলেন। নির্বাচনে জয় পেয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
তবে এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। মিশিগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটগুলোতে এবার জয়ের চাবিকাঠি মুসলিম ভোটারদের হাতে। এমনটাই মনে করছেন ট্রাম্পের প্রচার শিবির।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরইমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় উত্তপ্ত নির্বাচনর মাঠ। এই নির্বাচনে বরাবরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আমেরিকান মুসলিমদের ভোট। আর তাদের কাছে টানতেও মরিয়া হয়ে উঠেছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় শিবির।
তবে এমন পরিস্থিতির মধ্যেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সম্প্রতি সমর্থন দিয়েছেন মুসলিম নেতারা। তারা এবার ট্রাম্পকে বিজয়ী হিসেবে দেখাতে চান। যদিও এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।
বিষয়টি নিয়ে মুসলিম নেতাদের উদ্দেশে কথা বলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় গত ২৮ অক্টোবর ফিলাডেলফিয়ায় এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়ার কথা ভাবছেন- এমন মুসলিমদের নেতাদের উদ্দেশে বারাক ওবামা একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।
ওবামা বলেন, “আপনি যদি আমেরিকান মুসলিম হন এবং মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে আপনি কেন এমন একজনের (ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে) প্রতি বিশ্বাস রাখবেন? যিনি কিনা মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পাস করেছেন। বলেছেন যে আপনারা আমাদের আমেরিকান সম্প্রদায়ের অংশ নন?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, মুসলিম আমেরিকানরা বছরের পর বছর ধরে নির্ভরযোগ্যভাবে ডেমোক্র্যাটকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি এবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলাকে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সন্দিহান করে তুলেছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, ট্রাম্প সম্প্রতি কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্যতম আমের গালিব। যিনি মিশিগানের ডেট্রয়েটের একটি ছোট শহরতলী হ্যামট্রামকের মেয়র। সেখানকার জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মুসলিম।