বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পৃথক দুটি প্রস্তাব এনেছেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির দুই এমপি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুপা হক ও তার আগে ২২ জুলাই আপসানা বেগম তাদের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
রুপা হক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশনে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে চান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যা চলছে, তা নিয়ে সম্প্রতি রোম, প্যারিস, ম্যানচেস্টার ও লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভ দেখা গেছে। বাংলাদেশে তিন সংখ্যার ছাত্র ও বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমরা সঠিক সংখ্যা জানি না।”
এ সময় এই এমপি আরও বলেন, “আমরা কি এ বিষয়ে আমাদের (যুক্তরাজ্য সরকার) অবস্থান সম্পর্কে একটি জরুরি সরকারি বিবৃতি দিতে পারি? এমন পরিস্থিতিতে আমাদের একটি ঐতিহাসিক ও অনন্য ভূমিকার ইতিহাস আছে।”
জবাবে পার্লামেন্টে সরকারের মুখপাত্র ও এমপি পাওয়েল বলেন, “রুপা হক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। তিনি আগেই বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সহিংসতার বিষয়ে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রাণহানি অগ্রহণযোগ্য। প্রতিবাদ করার অধিকার ও ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার করতে হবে।”
রুপার বক্তব্য উদ্ধৃত করে পাওয়েল আরও বলেন, “আর এ ব্যাপারে আমরা সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এ সময় পাওয়েল জানান, তিনি জানেন যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রীরা এসব হালনাগাদ তথ্য জানতে চাইবেন। আর যেহেতু কিছুদিন পরই ছুটি শুরু হতে যাচ্ছে, তাই এ বিষয়ে কাজ করার যে সময় তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে ছুটির আগে এই গুরুত্বপূর্ণ হালনাগাদ তথ্যগুলো যাতে আনা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে. ২২ জুলাই আরেক ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত, প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ‘আর্লি ডে মোশন’ উত্থাপন করেন। এতে এখন পর্যন্ত সাবেক লেবার নেতা ও বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি জেরেমি করবিনসহ ২২ জন ব্রিটিশ এমপি স্বাক্ষর করেছেন।