সোমালিয়ার লোয়ার শাবেল অঞ্চলে একাধিক বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বারিরে গ্রামে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২১ জুন) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সোমালিয়ার লোয়ার শাবেল অঞ্চলে অপর এক সহিংসতায় কমপক্ষে দশ জন মারা গেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও একজন সৈন্য জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বারিরে গ্রামে দূর-নিয়ন্ত্রিত একাধিক বোমা বিস্ফোরণে প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটে।
সৈনিক নুর দিরিয়ে রয়টার্সকে বলেছেন, “প্রথম একটি বোমা বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক নিহত হয়। তারপর অনেক বেসামরিক ব্যক্তি এবং আমরা সৈন্যরা প্রথম বিস্ফোরণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করি। একপর্যায়ে অনেক লোক একত্রিত হলে দ্বিতীয় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।”
এদিকে সোমালিয়ায় স্থানীয় সংসদে ভোটদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে বিতর্কের জেরে সহিংসতায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ পান্টল্যান্ডে ভয়বাহ লড়াইয়ে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দেশটির সেনা সদস্যরাও রয়েছেন। মঙ্গলবার প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গারওয়ে পাবলিক হাসপাতালে কর্মরত ডা. আবদিরসাক আহমেদ বলেন, সহিংসতায় অন্তত ২৬ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন সৈন্য। নিহতদের মধ্যে কিছু ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী হামজা আবদি বারে একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ‘বন্দুকের নলের পরিবর্তে’ সংলাপের মাধ্যমে তাদের মতপার্থক্য সমাধান করতে জরুরি আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, পান্টল্যান্ড হচ্ছে শান্তির আবাসস্থল এবং ২০ বছর ধরে সরকার থাকার পর সেখানকার রাজধানীতে যুদ্ধ শুরু হওয়া অগ্রহণযোগ্য।