ভারতে এবার একদলীয় শাসনের ইতি হতে চলেছে। সেই সঙ্গে লোকসভায় ফিরতে চলেছে বিরোধী দলনেতার পদ। মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর পর্যন্ত ভোটগণনার ঘোষিত ফলাফল আর প্রবণতা এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকা।
‘মোদী ম্যাজিকে ধস!’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সরকার গঠনের জন্য বিজেপির নরেন্দ্র মোদীকে এবার নির্ভর করতে হবে জোট এনডিএ’র দুই শরিক নেতা, চন্দ্রবাবু নায়ডু ও নীতীশ কুমারের ওপর। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, অতীতে একাধিক বার জোট ছাড়ার ইতিহাস রয়েছে দুই নেতার।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভারতের লোকসভায় মোট আসন সংখ্যা ৫৪৩টি। এর মধ্যে সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২টি আসন। তবে ভোটগণনায় ইতোমধ্যে বিজেপির প্রাপ্ত আসন ২৪৩টি। বিপরীতে কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। অন্যান্য পার্টির হাতে চলে গেছে ২০১টি আসন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো এবার আর সংসদের নিম্নকক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বলা হচ্ছে, ৪০০ আসন অতিক্রম করা তো দূরের কথা, ২৫০-এর ঘর অতিক্রম করাই কঠিন হবে। তবে প্রবণতা অনুযায়ী, মোদির বিজেপির দৌড় বড় জোর দেড়শোর আগেই থেমে যেতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য এখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ’র দুই শরিক তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চন্দ্রবাবু নায়ডু ও জেডিইউ’র নীতীশ কুমারের ওপর। কিন্তু তাদের ওপর মোদি সরকারের ভরসা কতটা থাকবে সেটাই ভাবার বিষয়।
মূলত, ভারতের ইতিহাসে একমাত্র মোদিই টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড করতে চলেছেন। তবে জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তিন বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখলের রেকর্ড করা সম্ভব হবে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই একাধিক বার দাবি করেছেন, বিজেপি একক ভাবে ৩৭০ আসনে জিতবে।