ইন্দোনেশিয়ায় একটি অজগেরর পেট থেকে ফরিদা নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশ থেকেই সাপটি ও নারীকে গিলে ফেলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামে ফরিদা নামের ওই নারী পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদনে বলা হয়, রাতে স্ত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান তার স্বামী। তিনি ঘরের আশপাশে খোঁজ শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি ফরিদার সঙ্গে থাকা কিছু জিনিসপত্র এক জায়গায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর প্রতিবেশীদের নিয়ে আশেপাশে খোঁজাখুজি শুরু করেন।
শুক্রবার সকালে তারা পাশের এক জঙ্গলে একটি অজগর দেখতে পান। অজগরটির পেট অস্বাভাবিক বড় মনে হওয়ায় তারা সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত নেন। পেট কাটতেই বেরিয়ে আসে ফরিদার মরদেহ। সাপটি ৫ মিটার লম্বা বলে জানা গেছে।
অজগর কোনো মানুষকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলার ঘটনা বেশ বিরল। তবে গত কয়েক বছরে ইন্দোনেশিয়ায় বেশ কয়েকজনকে অজগরের গিলে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের তিনাঙ্গিয়া জেলায় একটি অজগর গ্রামের এক কৃষককে পেঁচিয়ে ধরে গিলতে শুরু করে। তখন বাসিন্দারা আট মিটার লম্বা অজগরটিকে মেরে ফেলে। তবে সেই কৃষক ততক্ষণে মারা যান।
২০১৮ সালেও ৫৪ বছর বয়সী এক নারীকে সাত মিটার লম্বা এক অজগরের পেটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের মুনা শহরে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগের বছর পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে এক কৃষককে একটি পাম তেলের বাগান থেকে গিলে পেলে একটি অজগর। ওই অজগরটির দৈর্ঘ্য ছিল চার মিটার।