ইউক্রেনের দক্ষিণে ওডেসা এবং উত্তরে খারকিভের জরুরি অবকাঠামো লক্ষ্য করে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ফলে বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া রাজধানী কিয়েভেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বর্তমানে কিয়েভের তাপমাত্রা মাত্র ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। আর এমন সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো নিশ্চিত করেছেন, রাশিয়ার হামলায় রাজধানীর প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িঘর বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিয়েভ ছাড়াও হামলা হয়েছে কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর অঞ্চল ওডিসা এবং দ্বিতীয় বৃহৎ শহর খারকিভে। এ দুটি অঞ্চলেও বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ওডেসা অঞ্চলের গভর্নর মাকসেম মার্চেঙ্কো বলেছেন, রুশ বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হেনেছে। এতে ওই অঞ্চল বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিমানবিধ্বংসী ইউনিট কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। কিন্তু সামনে আরও হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
খারকিভের গভর্নর ওলেহ সায়নেহুবোভ জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া দিনিপ্রোর প্রাণকেন্দ্র এবং যুদ্ধের সম্মুখভাগ থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরের লুৎস্ক এব লিভনে শহরেও হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
বিবিসির সাংবাদিক মায়োস্লাভা পেৎসা জানিয়েছেন, ভোরের আলো ফোটার আগেই হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, “ইউক্রেনে এখন রাত ৩টা বাজে। আজ রাতে রাশিয়ানরা ইউক্রেনীয়দের শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না। ইউক্রেনের প্রায় সব দিকে অসংখ্য ড্রোন এবং রকেট ছোড়া হয়েছে। সবাই কি আজ সকালে জেগে উঠবে? গত এক বছর ধরে বেসামরিক ব্যক্তিরা এ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।”
এদিকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা এনারহোয়াতোম বলেছে, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগকারী ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সর্বশেষ লাইনটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এর আগে গত বছরের আগস্টে ইউক্রেনের জাতীয় গ্রিড থেকে জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রথমবারের মতো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সংযোগ ঠিক করতে দুই সপ্তাহ লেগে যায়।