ভারতের লোকসভায় হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ললিত ঝা আত্মসমর্থন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে তিনি নিজে থেকে থানায় এসে আত্মসমর্থন করেন বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) হামলার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিজেই দিল্লির কর্তব্যপথ এলাকার থানায় গিয়ে আত্মসমর্থন করেন। আত্মসমর্পণের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক রং বোমা নিয়ে চেম্বারে ঢুকে পড়েন। সেটি দিয়ে সভাকক্ষে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন তারা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদেরকে ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেসময়ে সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে বিক্ষোভের সময় নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে নামে দুইজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার রাতে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গুরুগ্রাম থেকে বিশাল শর্মা নামে আরেক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায়, সংসদে হামলার মূল হোতা ললিত। তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টির পরিকল্পনা করেন।
ললিত ঝা বিহারের বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারাতেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ললিত কলকাতায় শিক্ষকতা করতেন। সংসদ হামলার প্রথম ভিডিও তিনি হালিশহরের নীলাক্ষ আইচকে পাঠান। বৃহস্পতিবার নীলাক্ষের বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে ললিত নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।