ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজার অনেকেই পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি দিতে পারেনি। সবগুলো সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়ে তারা গাজায় কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে ইসরায়েলি বাহিনী।
সোমবার (১৭ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্থানীয় মিডিয়া অফিস।
গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, দখলদার বাহিনী গাজার লোকজনকে কোরবানিতে বাধা দিয়ে নতুন একটি অপরাধ করেছে। তারা রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখলের পাশাপাশি অন্য সব ক্রসিং বন্ধ করে কোরবানির পশু প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। গাজার পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি চরম অবজ্ঞা বলে অভিহিত করেছে।
এমনিতেই ২৫০ দিন ধরে চলমান ইসরাইলি হামলায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণ গেছে অসংখ্য গবাদি পশুর। অনাহারেও মারা গেছে অনেক পশু। এছাড়া দুর্ভিক্ষের কবলে পড়া গাজাবাসী প্রাণ বাঁচাতেও অনেক পশু জবাই করে খেয়েছে। সব মিলিয়ে গাজায় কোরবানির পশু নেই বললেই চলে। যে কয়েকটি পশু রয়ে গেছে, সেগুলোর মূল্যও আকাশছোঁয়া। তাই তারা পবিত্র কোরবানি উপলক্ষে বাইরে থেকে পশু আমদানি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে ব্যাপকভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও কোরবানি দিতে পারেননি।
গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঈদুল আজহার অন্যতম ও অবিচ্ছেদ্য অংশ পশু কোরবানি করা। কিন্তু তাতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের অধিকার ও মানবাধিকারের এই নির্মম লঙ্ঘন বন্ধ করতে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। ইসলামের বিরুদ্ধে এবং আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই অপরাধ অব্যাহত রাখার জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েল ও মার্কিন প্রশাসনকে সম্পূর্ণ দায়ী বলে অভিহিত করে।