ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন ও তার সহকারী দিমিত্রি উটকিনকে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। তাদের ওপর সম্ভাব্য হামলার ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করে বেলারুশে অবস্থান করতেও বলেছিলেন তিনি। প্রিগোশিনের মৃত্যুর পর ভাগনার সেনারা বেলারুশেই অবস্থান করবেন বলে তিনি দাবি করেন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জনা যায়।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাশিয়ায় একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ইয়েভগেনি প্রিগোশিন, দিমিত্রি উটকিনসহ ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
প্রিগোশিনের সম্ভাব্য মৃত্যুতে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেন, তিনি প্রিগোশিনকে দুইবার সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু প্রিগোশিন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, জুন মাসে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওয়াগনারের বিদ্রোহের সময় প্রথমবার প্রিগোশিনকে সতর্ক করে বলেছিলেন, মস্কোর দিকে অগ্রসর হলে তার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এর জবাবে প্রিগোশিন বলেছিলেন, “তাতে কিচ্ছু যায় আসে না, আমি মরব।”
পরে প্রিগোশিন ও দিমিত্রি উটকিন লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আরেকবার সাক্ষাৎ করেছিলেন। তখন তিনি তাদের সতর্ক করে বলেছিলেন, “ছেলেরা, তোমরা সাবধান।”
তবে এই কথোপকথন কখন হয়েছিল, তা বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেল্টার খবরে স্পষ্ট নয়।
লুকাশেঙ্কো আরও জানান, তিনি বিশ্বাস করেন এই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় পুতিনের হাত নেই। তিনি বলেন, “আমি পুতিনকে চিনি। তিনি হিসেবি, শান্ত ও ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ। আমি ধারণাও করতে পারি না যে পুতিন এই কাজ করেছেন। এ ঘটনায় পুতিনকে দায়ী করা হবে খুব অপেশাদার কাজ।”
লুকাশেঙ্কো ভাগনার সেনারা বেলারুশে থাকবে জানিয়ে বলেন, “ভাগনার ছিল, ভাগনার আছে এবং ভাগনার বেলারুশে থাকবে। যত দিন আমাদের এই ইউনিটের প্রয়োজন হবে, তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে ও কাজ করবে।”