অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের চার সদস্য। বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সংস্কারকাজ চালানো ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে সেই চিঠিতে। বাস্তবিক অর্থেই দেশে একটি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী আইনপ্রণেতারা হলেন, পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির প্রধান ও সিনেটর বেন কার্ডিন, সিনেটর ক্রিস মারফি, সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন ও সিনেটর জেফ মার্কলে।
ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বদানের ভার গ্রহণ করায় চিঠির শুরুতেই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান চার সিনেটর। তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সফলভাবে উত্তরণ নিশ্চিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার কথা জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সিনেটররা আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা, হিন্দু সম্প্রদায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ ঝুঁকিতে থাকা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত জবাবদিহি করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সিনেটররা লিখেছেন, ‘যখন নাগরিকেরা একত্র হন, তখন তাদের কণ্ঠস্বর এমনকি সবচেয়ে অনমনীয় ও কর্তৃত্ববাদী নেতাদেরও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে পারে।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ঐতিহাসিক এ মুহূর্ত এমনিতেই আসেনি। বিক্ষোভকারীদের যৌক্তিক দাবিদাওয়ার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত না করে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরং নিষ্ঠুরভাবে শক্তি খাটিয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী। আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনেককে।’
বিক্ষোভকারীরা নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক জানিয়ে সিনেটররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া অনুসরণের অনুরোধ জানান।
