যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শত শত বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিতাদেশ সাময়িকভাবে বন্ধ করেছেন একজন মার্কিন বিচারক। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এই আদেশ কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট আগে বিচারক লরেন আলিখানের এ সংক্রান্ত রায় আসে, যেখানে তিনি আগামী সোমবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসন সমস্ত ফেডারেল অনুদান ও ঋণের বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়, যা বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে করদাতাদের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এবং জেন্ডার ও বৈচিত্র্য বিষয়ক কর্মসূচির ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে।
বিরোধী দল ও ফেডারেল অনুদান গ্রহীতারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ননপ্রফিটস আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার রায়ে বিচারক আলিখান বলেন, তিনি পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন এবং সোমবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। হোয়াইট হাউসের এই সিদ্ধান্তের ফলে দুর্যোগ সহায়তা থেকে শুরু করে ক্যানসার গবেষণা পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে বিলিয়ন ডলারের তহবিল আটকে যেতে পারত।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ননপ্রফিটসের প্রেসিডেন্ট ডায়ান ইয়েন্টেল আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মামলা সফল হয়েছে, মার্কিন জেলা আদালত ওএমবির (অফিস অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট) ফেডারেল তহবিল স্থগিতের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছে।’
তার সংস্থা ট্রাম্প প্রশাসনের এই আদেশকে আইনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ট্রাম্পের নির্দেশনা ‘কোনো আইনি ভিত্তি ছাড়াই সমস্ত ফেডারেল অনুদান কার্যক্রম বন্ধ করার চেষ্টা’ করেছে।
ডেমোক্র্যাট নেতারা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘অভূতপূর্ব এবং ধ্বংসাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন। সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বেতন পরিশোধে জটিলতা, বাড়ি ভাড়া দিতে সমস্যা এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।