যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন আফ্রো-ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে পারলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম ভারতীয় ও অশ্বেতাঙ্গ নারী প্রেসিডেন্ট। আর কমলার জয় কামনায় ভারতের এক প্রত্যন্ত গ্রামে চলছে পূজা অর্চনা।
গ্রামের নাম থুলাসেন্দ্রাপুরম। জেলা তিরুভারুর। চেন্নাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই অখ্যাত গ্রাম রাতারাতি প্রচারের আলোয় উঠে এসেছে। কারণ এই গ্রামেই জন্মেছিলেন কমলার মাতামহ (দাদু) পিভি গোপালন। পরে অবশ্য কর্মসূত্রে তিনি চেন্নাই চলে যান। আরও পরে ভারতীয় কূটনীতিক হিসেবে জাম্বিয়ায় চলে যান তিনি। কমলার মা শ্যামলা গোপালনের সঙ্গে সেই অর্থে এই গ্রামের কোনো নিবিড় যোগসূত্র নেই। কারণ বাবার কর্মসূত্রে বিভিন্ন দেশে ঘুরলেও এই গ্রামে সে ভাবে আর ফেরা হয়নি শ্যামলার। তা সত্ত্বেও গ্রামের বাসিন্দারা মনে করেন কমলা তাদেরই ‘ঘরের মেয়ে’।
প্রবীণদের অনেকের মনে আছে যে, কমলা ও তার বোন মায়া যখন ছোট, তখন শ্যামলা তাদের এই গ্রামে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতীয় খাবার রান্না করে খাইয়েছিলেন, সাজিয়েছিলেন দেশীয় গয়নায়। ২০২০ সালে কমলা যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন, তখনও একই ভাবে আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে ‘ঘরের মেয়ের’ নাম ঘোষণা হওয়ার পরেও উচ্ছ্বাসের একই ছবি ধরা পড়েছিল।
সোমবার থেকেই কমলার ছবি সম্বলিত পোস্টার আর ব্যানারে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো গ্রাম। কমলার এক আত্মীয় সরলা গোপালন হ্যারিসের নামে মন্দির করার জন্য ৫০০০ টাকা দান করেছিলেন। সেই মন্দিরেই চলছে বিশেষ পূজা। সম্প্রতি কমলা জানিয়েছিলেন, তিনি দক্ষিণ ভারতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। সে কথা মাথায় রেখে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে ইডলি-সম্বর ভাগ করে খাচ্ছেন। গ্রামের এক বাসিন্দার কথায়, “তার (কমলা) ভারতীয় শিকড় রয়েছে। তার পূর্বপুরুষেরা আমাদের গ্রামে থাকতেন। তিনি বিশ্বের শক্তিশালী দেশের এত বড় একটি পদের জন্য লড়াই করছেন। আমরা চাই উনি জয়ী হোন।”
সূত্র : আনন্দ বাজার