জন-অসন্তোষ ও কেলেঙ্কারি প্রমাণিত হওয়ায় পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদ। আসন্ন সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পদত্যাগ করবেন বলে বুধবার (১৪ আগস্ট) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন। গত তিন বছর ধরে কিশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “জনগণের আস্থা ছাড়া রাজনীতি চলতে পারে না। আমি লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের (এলডিপি) হয়ে আর নির্বাচনে দাঁড়াবো না। আমি এখন থেকে এলডিপির নবনির্বাচিত নেতার সমর্থনে দলের সদস্য হয়ে কাজ করবো।”
কিশিদার জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো, এলডিপির সঙ্গে ইউনিফিকেশন চার্চের বিতর্কিত সম্পর্ক আর রেকর্ডবিহীন রাজনৈতিক অনুদান। মুদ্রাস্ফীতি নিয়েই মানুষ সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কয়েক বছর ধরে চলা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলেও জনগণের বেতন ও জীবনযাত্রার মান বাড়েনি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কেন হচ্ছেন তা নিয়ে। তবে অনেকেই বলছেন, যিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাকেই লড়াই করতে হবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত সমস্যার সঙ্গে।