সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়তে শুরু করেছে জাপান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩ মিনিট থেকে সাগরে তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অল্প পরিমাণে পানি ছেড়ে এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
জাপান প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার টন পরিশোাধিত তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়বে। এই পানি সাগরে ফেলতে সময় লাগবে প্রায় ৩০ বছর।
জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থা জানিয়েছে এই পানি সাগরে ছাড়লে মানুষ এবং পরিবেশের উপর ‘নগন্য’ প্রভাব পড়বে। তাদের অনুমোদন পেয়েই জাপান এই পানি সাগরে ছাড়ছে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতে এই পানি ছাড়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন জাপানের সামুদ্রিক খাবার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানের সামুদ্রিক খাবারে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা মুক্ত হচ্ছে তা অত্যন্ত কম।
প্রায় ১২ বছর আগে ২০১১ সালে দেশটিতে ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। ফলে সুনামি হয়ে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি চুল্লি পানিতে ডুবে যায়। যার ফলে কেন্দ্রটি বিধ্বস্ত হয়। এতদিন ধরে জাপান এই পানি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করে আসছিল। কিন্তু স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা এবার এ পানি সাগরে ছাড়তে শুরু করেছে।