• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
সাবমেরিন টাইটান

একটুর জন্য সলিলসমাধি হলো না মার্কিন ব্যবসায়ীর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৩, ০২:১৬ পিএম
একটুর জন্য সলিলসমাধি হলো না মার্কিন ব্যবসায়ীর

আটলান্টিক সাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পর্যটকবাহী সাবমেরিন টাইটান পানির প্রচণ্ড চাপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারীরা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান। সেইসঙ্গে সলিল সমাধি হয়েছে পাঁচ পর্যটকের। তবে এ যাত্রায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ধনকুবের জে ব্লুম।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, লাস ভেগাসের ধনাঢ্য এ ব্যবসায়ীকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য টাইটানের দুটি আসনের টিকেট কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য তিনি রেজিস্ট্রেশনও করেছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার উদ্বেগ এবং সময়সূচী সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অভিযানে যোগ দিতে অস্বীকার করেন।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে ব্লুম জানান, কিছুটা কম দামে এই যাত্রার দুটি আসনের টিকিট কিনতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়ার কারণে ১৮ জুন পর্যন্ত ডাইভ বিলম্বিত হয়। আমি টাইটান যাত্রার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে স্টকটন আমাকে বলেছিলেন এটি হেলিকপ্টারে উড়ে যাওয়া কিংবা স্কুবা ডাইভিংয়ের চেয়েও অনেক বেশি নিরাপদ। বেসামরিক সাবমেরিনে ৩৫ বছরে কারও আহত হওয়ার উদাহরণ নেই। আমি নিশ্চিত যে, তিনি যা বলছিলেন তা তিনি সত্যিই বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু তার বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে।”

ব্লুম বলেন, “আমি তাকে জানিয়েছিলাম, সময়ের কারণে এবার হচ্ছে না। পরে আমাদের জন্য প্রস্তাবিত দুটি আসনে শাহজাদা দাউদ ও তার ১৯ বছরের ছেলে সুলেমান দাউদ গিয়েছে।”

এর আগে গত রোববার (১৮ জুন) সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রে ডুব দেয় ছোট আকৃতির সাবমেরিন। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই এটির সঙ্গে ওপরে থাকা জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

টাইটানিক জাহাজটি ১৯১২ সালে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক আসার পথে একটি বরফ খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এটি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বড় জাহাজ এবং প্রথম যাত্রাও তা শেষ করতে পারেনি। ওই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু হয়।

Link copied!