• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩০, ৭ রজব ১৪৪৬

দিনে আইটি কর্মী রাতে মডেল, ডেটিংয়ে তুষারের ‘শিকার’ ৭০০ তরুণী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
দিনে আইটি কর্মী রাতে মডেল, ডেটিংয়ে তুষারের ‘শিকার’ ৭০০ তরুণী
প্রতীকী ছবি

দিনে আইটি কর্মী হিসেবে অফিসে কর্মরত সাদামাটা ব্যক্তিটি রাত হলেই হয়ে যেতেন মার্কিন মডেল। আর এভাবেই একের পর এক তরুণীকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে, ব্ল্যাকমেল করে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। অনলাইন ডেটিংয়ের আড়ালে দিব্যি চলছিল এমন প্রতারণা। প্রায় ৭০০ মহিলা তার প্রতারণার ‘শিকার’ হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এইসময় অনলাইন।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, ‘বাম্বেল’ থেকে শুরু করে ‘স্ন্যাপচ্যাট’, এমনকী হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন তুষার বিস্ত। দিনে দিব্যি কাজ করতেন প্রযুক্তিকর্মী হিসেবে। রাতেই বসত তার সাম্রাজ্য। টার্গেটে ছিলেন ১৮-৩০ বছর বয়সি তরুণী ও মহিলারা। প্রথমে তাদের সঙ্গে আলাপ জমাতেন তারপর ধীরে ধীরে তাদের ভরসা অর্জন করতেন তুষার। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও আদান প্রদান চলত। এরপরই শুরু হতো ব্ল্যাকমেল পর্ব।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, একটি অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল নম্বর জোগাড় করেন তুষার। বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপে নিজের ‘ভুয়া’ প্রোফাইল বানান। সেখানে নিজেকে আমেরিকার মডেল হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। ব্রাজিলের এক মডেলের ব্যক্তিগত তথ্য এবং ছবি জোগাড় করে মহিলাদের সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ জমাতেন তিনি। মহিলারা তাকে বিশ্বাস করে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও পাঠালে সেগুলো ব্যবহার করে ওই মহিলা বা তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করতেন। এভাবেই টাকা হাতিয়ে নিতেন।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির বাসিন্দা তুষার বিস্ত বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় টেকনিক্যাল রিক্রুটার হিসেবে কাজ করেন। ভালো বেতনও পান তিনি। কিন্তু মহিলাদের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ থেকে টাকা উপার্জনের এই অভিনব ফাঁদ পাতেন তিনি।

‘বাম্বল’ ডেটিং সাইটের মাধ্যমে ৫০০ মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন এই তুষার। ‘স্ন্যাপচ্যাট’-এর ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ২০০। গেল ডিসেম্বরে তুষারের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তার সঙ্গে আলাপ জমানোর পর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিগত কিছু ছবি আদায় করেন তুষার। এরপর থেকেই ছাত্রীকে সেই সমস্ত ছবি-ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেগুলো পোস্ট করার হুমকি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন।

শেষে ছাত্রীটি তার পরিবারকে বিষয়টি জানাতে বাধ্য হন। এরপরই পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ পূর্ব দিল্লির শকরপুর থেকে তুষারকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ১৩টি ক্রেডিট কার্ড এবং ফোনে কয়েকশো মহিলার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও উদ্ধার হয়।

Link copied!