ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি নাগরিকের শরীরে বোমা বেঁধে হামাসের টানেলে প্রবেশ করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাকিম নামের ৩০ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নাগরিক জানান, ইসরায়েলি সেনারা টানেলের ভেতর হামাস যোদ্ধাদের খুঁজতে তাকে ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি তিনি ইসরাইলি সেনাদের হাত থেকে মুক্তি পান। নিরাপত্তার কারণে নিজের পুরো নাম প্রকাশ না করে জানান, এক ইসরাইলি সেনা হামাসের একটি সুড়ঙ্গে নিয়ে যাওয়ার আগে তাকে আল্লাহর কাছে পাঠাচ্ছে বলে জানান।
হাকিম বলেন, “ইসরায়েলি এক সেনা আমাকে বোমা লাগানো একটি বেল্ট পরিয়ে মাথায় একটি ক্যামেরা বসিয়ে দেয়। সঙ্গে আমার কোমরেও দড়ি বেঁধে দেয় তারা।”
ইসরায়েলি সেনারা তাকে সুড়ঙ্গের ভেতর পাঠিয়ে সেখানে কোনো হামাস সদস্য আছে কি না তা দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানান হাকিম। তিনি বলেন, “মাথায় বেঁধে দেওয়া ক্যামেরায় হামাসের কোনো সদস্যকে দেখা গেলে তারা আমার শরীরে বাঁধা বোমাটি বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম যে আমাকে হত্যা করা হবে। কিন্তু টানেলের ভেতর কাউকে না পেয়ে তারা আবার আমাকে দড়ি ধরে টেনে বের করে আনে।”
১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকেও একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বলে জানান হাকিম। ইসরায়েলি সেনারা তাকে তিনদিন পর মুক্ত করেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে মিডল ইস্ট আই-এর পক্ষ থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।