এবার গাজার আল-শিফা হাসপাতালে স্নাইপার তাক করে হামলা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। রোববার (১২ নভেম্বর) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
আল-শিফা হাসপাতালের ডিরেক্টর মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, “আমরা মৃত্যু থেকে কয়েক মিনিট দূরে আছি। হাসপাতালের বিল্ডিংগুলো লক্ষ্য করে, কম্পাউন্ডের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের স্নাইপার দিয়ে হামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি শেষ হওয়ায় অপারেশনও স্থগিত করতে হয়েছে।”
আবু সালমিয়া আরও জানান, মেডিকেল ক্রুর একজন সদস্য নবজাতক শিশুদের পর্যবেক্ষণ করতে ইনকিউবেটরের কাছে যাচ্ছিলেন। তাকে সেই মুহূর্তেই গুলি করে হত্যা করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় ৩৯ নবজাতকের মধ্যে ২জন মারা গেছে।
গাজার উপস্বাস্থ্য মন্ত্রী আবু আল-রিশ বলেন, “আমাদের ইনকিউবেটরে ৩৯জন নবজাতক রয়েছে। এই শিশুরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। কম্পাউন্ড এলাকায় চারপাশ থেকে স্নাইপার তাক করা রয়েছে। যার ফলে হাসপাতালের ভেতরে থাকা লোকজন অবাধে চলাফেরা করতে পারছে না।”
ডক্টরস উইথআউট বর্ডার থেকে একটি অডিও বার্তা দিয়েছে আল-শিফা হাসপাতলের চিকিৎসক মুহাম্মদ ওবেইদি। তিনি বলেন, “আমরা চাই কেউ নিশ্চিত করে বলুক যে তারা এখানকার রোগীদের সেখানে নিয়ে যাবে। আমদের এখানে প্রায় ৬০০ এর বেশি রোগী রয়েছে।”
সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে যে, প্রকৃতপক্ষেই আল-শিফা হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় লোকজনকে গুলি করা হয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ বলে, “আল-শিফা হাসপাতাল থেকে লোকজন পালানোর চেষ্টা করার সময় যে গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, সেটি আমাদের কর্মীরা দেখেছেন।”
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি আল-কুদস হাসপাতাল থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরত্বে ছিল।
এদিকে হামলার পর থেকে আল-শিফা হাসপাতালের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রোববার (১২ নভেম্বর) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানায়, “হাসপাতালে পরপর ভয়াবহ কিছু হামলার কথা যেভাবে শোনা যাচ্ছে, তাতে আমরা মনে করছি আমাদের পরিচিত যারা সেখানে ছিলেন, তারাও বাকিদের সঙ্গে যোগ দিয়ে উত্তর গাজা ছেড়ে পালিয়েছেন।”