ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেকে। অল্প সময়ের ব্যবধানে চালানো হামলায় এসব মানুষ নিহত হয়েছেন।
খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন কয়েক ডজন।
অন্যদিকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেখানেও আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
এমন হুঁশিয়ারির জবাবে পরদিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো ধরনের চাপই ইসরাইলকে গাজা গণহত্যা ও চলমান যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েল একা দাঁড়াবে। এমন অবস্থার মধ্যেই রাফাহ অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর ফলে গত ৬ মে থেকে ৯ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।