সিরিয়ার টালমাটাল পরিস্থিতেতে রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়বেন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। ঠিক সেই মুহূর্তে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উদ্ধার করতে উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিল সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান। কিন্তু বাদ সাধে ইসরায়েল। ইসরায়েলের একাধিক যুদ্ধবিমান উড়ে যায়। মাঝ আকাশে রুখে দেয় ইরানি উড়োজাহাজ। ফলে ইরানি উড়োজাহাজ আর দামেস্কে পৌঁছাতে পারেনি। এমনটাই দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
২০১৮ বছরের ৮ ডিসেম্বর ভোরবেলা দামেস্কে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। পতন হয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের। রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চলা আল-আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান ঘটে।
নেতানিয়াহু বলেন, তারা (ইরান) বাশার আল-আসাদকে উদ্ধার করতে চেয়েছিল। সিরিয়ার এই নেতাকে সহায়তার জন্য উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিল ইরান। কিন্তু ইসরায়েল তা রুখে দেয়। সেদিন দামেস্কমুখী ইরানের কিছু উড়োজাহাজের দিকে বেশ কয়েকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠায় ইসরায়েল। পরে ইরানি উড়োজাহাজগুলো ফিরে যায়।
এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি নেতানিয়াহু। ইরানের দিক থেকেও বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদকে নিরাপদে সিরিয়া থেকে সরিয়ে নিতে উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিল আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। পরে সেই উড়োজাহাজে করেই তিনি মস্কোয় পালিয়ে যান।