যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার অর্থায়নে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান কিনবে ইসরায়েল। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তিতে আরও ২৫টি এফ-৩৫ ক্রয় করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পর প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ইসরায়েল এই আধুনিক যুদ্ধবিমান নিজেদের বাহিনীতে যুক্ত করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ যাদের কাছে এ উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান রয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, লকহিড মার্টিনের (এলএমটি.এন) তৈরি অতিরিক্ত ২৫টি বিমান ইসরায়েলের বিমানবাহিনীতে যুক্ত হবে। ফলে দেশটিতে এফ-৩৫ এর সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৫-এ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রোববার (২ জুলাই) এ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই নতুন চুক্তি বিমানের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে আমেরিকান কোম্পানি এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সহযোগিতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে।”
লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি এই বিমানে আছে ‘স্টেলথ’ প্রযুক্তি। অর্থাৎ এটি উড্ডয়নের সময় শত্রুপক্ষের রাডারে তার অস্তিত্ব ধরা পড়বে না। শত্রুপক্ষের বিমানের চোখে পড়ার আগেই সে নিজেই তাকে দেখতে পাবে। প্লেনটির পাইলটের হেলমেটে বসানো আছে একটি ডিসপ্লে সিস্টেম- যাতে অন্যদিকে মুখ করে থাকা অবস্থায়ও শত্রু বিমানের দিকে গুলি করতে পারবে।
২০১৮ সালের মে মাসে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী প্রধান বলেছিলেন, যুদ্ধে ইসরাইল প্রথম বিমানটি ব্যবহার করেছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাত দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চেষ্টা করছে। কিন্তু চীনের সঙ্গে উপসাগরীয় এ দেশটির সম্পর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি করেনি।
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান বলে মনে করা হয়। এটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, শত্রু অঞ্চলের গভীরে গিয়ে আঘাত হানা এবং এয়ার ডুয়েলে জড়িত। পাইলট শত্রু লক্ষ্যবস্তুর গতিবিধি চিহ্নিত করতে পারবেন, শত্রু রাডার ‘জ্যাম’ বা অকার্যকর করে দিতে পারবেন এবং আক্রমণ প্রতিহত করতে পারবেন। তাছাড়া এ বিমানের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত অপারেশন কমান্ডারের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে। এটি ‘জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার’ নামেও পরিচিত। ইসরায়েলে হিব্রু নাম আদির বা পরাক্রমশালী (মাইটি) নামেও পরিচিত।