হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনার দাবিতে হাজার হাজার ইসরায়েলি নেমে আসেন রাজপথে। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে তেল আবিব। ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলে বড় ধরনের এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের কেউ কেউ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সংঘাত দীর্ঘায়িত করার জন্য অভিযুক্ত করেন।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলার সময় তারা ২৫২ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। যাদের মধ্যে ১২৮ জন এখনো জিম্মি আছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তির দাবিতে শনিবার (৪ মে) গভীর রাতে ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেন। তার বিক্ষোভ শুরুর আগেই মিসরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির উদ্যোগের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
হামাস বলেছে, আলোচনায় এখন পর্যন্ত নতুন কোনো অগ্রগতি নেই। তবে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচকেরা কায়রোয় রোববার (৫ মে) আবার আলোচনা শুরু করেছেন। জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামানো নিয়েই এ আলোচনা।
চুক্তিটি অস্থায়ী, নাকি স্থায়ী হবে, সে বিষয়ে সমঝোতা আটকে আছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এর মধ্যে ইসরায়েলে যে বিক্ষোভ হয়েছে তা ছিল একটি চুক্তির জন্য নেতানিয়াহু সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়তে থাকার সর্বশেষ নিদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে। জিম্মিদের ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনার জন্য চাপের মুখে আছেন নেতানিয়াহু।
তেল আবিবের কিরিয়া সামরিক ঘাঁটিতে জড়ো হওয়া কিছু বিক্ষোভকারী প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেন। এ ছাড়া অন্যরা যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান।