গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বুধবার (১৫ নভেম্বর) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
তুরস্কের পার্লামেন্টে এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, “ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও নেতারা গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছেন।” তাদের বিচারের দাবি তোলেন তিনি।
উত্তপ্ত এ পরিস্থিতিতে আলোচনার জন্য জার্মান সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান। বুধবার (১৫ নভেম্বর) পার্লামেন্টে তিনি বলেন, “হামাসের বিরুদ্ধে করা ইসরায়েলিদের এ হামলায়, তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা। এটি মানব ইতিহাসের অবিশ্বাস্য একটি হামলা হিসেবে চিহ্নিত হবে।”
আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি নেতাদের এ যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি জানান এরদোয়ান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “তুরস্কের অবস্থান স্পষ্ট। হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। এটি একটি রাজনৈতিক দল। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সর্বশেষ নির্বাচনে জিতেছিল হামাস।”
পার্লামেন্টে তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সদস্যদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইসরায়েল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।”
ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি না, জানানোর জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি জানান, নেতানিয়াহু শিগগিরই তার পদ হারাতে যাচ্ছেন।
এরদোয়ান জানান, অবরুদ্ধ গাজায় যারা অবৈধ দখলদারিত্ব চালাবে, বসতি স্থাপন করবে, তাদের আঙ্কারা ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করবে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসকে সমর্থন করে বলে অভিযোগ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
চলতি মাসে গাজায় নৃশংস এ হামলা চলাকালীন ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে তুরস্ক। সেই সঙ্গে দেশটির পক্ষ থেকে নেতানিয়াহু সরকারের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করা হয়। এর প্রত্যুত্তরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইসরায়েলও আঙ্কারা থেকে দূতাবাসের কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করবে বলে জানিয়েছে তারা।