ইসরায়েল-গাজার সংঘাত ইউক্রেনের ওপর থেকে বিশ্ববাসীর নজর সরিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, “এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সঙ্গে শুরু হওয়া যুদ্ধেরই একটি চাল।” দেশটির শীর্ষ সামরিক জেনারেলের সমঝোতা চেষ্টার পরও তিনি এ যুদ্ধ শেষ করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তাদের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে করা হামলায় খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। এই পরিস্থিতি কিয়েভের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোকে আগাম অস্ত্র ও ত্রাণ সহায়তার সঙ্গে যুদ্ধের ভীতিকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরুভ ১২৮তম মাউন্টেন অ্যাসল্ট ব্রিগেড ‘জাকাপাট্টিয়া’-এর সেনা সদস্য নিহতের কথা স্বীকার করেছেন এবং পুরো ঘটনার অনুসন্ধান চালানোর কথা জানান। তবে তিনি নিহত সেনা সদস্যের সংখ্যা কত তা জানাননি। কিন্তু শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জাকাপাট্টিয়া দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার মিসাইল হামলার কথাও বলেন তিনি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) ইউরোপিয়ান কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের সময় এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলেনস্কি বলেন, “এটি একেবারে পরিষ্কার যে মধ্যপ্রাচ্যের এ যুদ্ধ ইউক্রেনের থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।” তিনি বলেন “রাশিয়া চাচ্ছে ইউক্রেনের প্রতি থাকা নজর কমে যাক। কারণ আমাদের হাতে এখন সবকিছু রয়েছে বলে রাশিয়া উদ্বিগ্ন হয়ে আছে।”
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে রাশিয়া আকাশ পথ দখল করে আছে। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোকবিলার অস্ত্র প্রয়োজন। তিনি গত বছরের কথা স্মরণ করে বলেন, “যুদ্ধের সমঝোতার জন্য আরও অনেক বৈঠকের প্রয়োজন ছিলো।”এছাড়াও জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার জন্য চাপের মুখে পড়ার সকল তথ্য প্রত্যাখ্যান করেন।