গাজায় চলমান যুদ্ধে ২০০০ পাউন্ডের ৫ শতাধিক বোমা ফেলেছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের এ ভূখণ্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সিনথেটিক’ এ বিষয়ে সিএনএনকে সহায়তা করে।
২০০০ পাউন্ড বোমার ওজন ও আকৃতি বিশাল এবং ব্যাপক প্রাণঘাতী একটি বিস্ফোরক। এক একটি বোমার ওজন ২০০০ পাউন্ড বা ৯০৯ কেজির বেশি। এ বোমাগুলোর সাহায্যে যে এলাকায় হামলা করা হয়, তার চারপাশের ১ হাজার ফুট দূরত্বের মধ্যে অবস্থানকারী মানুষ এতে নিহত ও গুরুতর আহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইসরায়েলি বাহিনীর আড়াই মাসের এ যুদ্ধে এ ধরনের বোমার কারণে গাজায় বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সাধারণত বড় ধরনের কোনো সামরিক অভিযানে এ বোমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গত দশকে ইরাক ও সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এই বোমা ব্যবহার করেছিল।
তবে আইএএফ গাজায় যে বোমা ব্যবহার করেছে, সেগুলো মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বোমাগুলোর তুলনায় চার গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক বলে ইসরায়েলি সূত্র সিএনএনকে জানায়। ভিয়েতনাম যুদ্ধে এই বোমা ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরোধী প্রচারণা সংস্থা সিভিকের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা জন চ্যাপেল সিএনএনকে বলেন, “গাজার মতো একটি ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ২০০০ পাউন্ড বোমা ফেলা আর উপত্যকাটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া একই বিষয়। যুদ্ধের পর গাজাকে পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কয়েক দশক লেগে যাবে।”
গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার ৭০০ জন।
