যুদ্ধের পর গাজাকে শাসন, দখল বা জিতে নিতে চান না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়
ইসরায়েল ফিলিস্তিন থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে একটি বিশ্বাসযোগ্য শক্তি হিসেবে কাজ করবে। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পিছিয়ে যাওয়ার পরও তারা গাজার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতে চায়।
ওয়াশিংটন জানায়, ইসরায়েল যদি যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় তাহলে তারা সেখানে বাধা দেবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা গাজাকে জিতে নিতে, দখল করতে বা শাসন করতে চাই না। গাজায় যাতে ৭ অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি না হয় ইসরায়েল তা নিশ্চিত করবে। তবে গাজার শাসন স্থানীয় সরকারই করবে।”
নেতানিয়াহু বলেন, “প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের বিশ্বস্ত বাহিনীকে নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবো এবং ঘাতকদের হত্যা করবো। যাতে হামাসের কোনো পুনরাবৃত্তি না হয়।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, গাজায় ১০ হাজার ৮০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজায় ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কারণ সেখানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ প্যালেস্টিনিয়ান অথোরিটিকে (পিএলও) যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গাজার শাসনভার নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। হামাস ২০০৭ সালের পর গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে চলে যায়। পিএলওর কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের পর, ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে যাওয়া গাজা মুক্ত হওয়ার পরই তারা গাজায় প্রবেশ করবে।