যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, যদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয় তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এই নিশ্চয়তা তখনই সত্য হবে যখন ইসরায়েল তাদের সমর্থন করবে। তবে হামাসকে যুক্তরাষ্ট্রের সেই নিশ্চয়তা দেয়ার খবর পাওয়ার পর পরই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়নি।
এর আগে মিসরের রাজধানী কায়রোতে শনিবার (৪ মে) হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যায়। যেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনাও করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। কারণ রোববার (৫ মে) আবারও আলোচনায় বসার কথা আছে।
হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।
তবে এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি হয়নি তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবেন না।
এদিকে, ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয় তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কথা শোনেননি। তিনি কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনতে হাজার হাজার ইসরায়েলি এখন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েও কিছু করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে আমলে নিচ্ছেই না ইসরায়েল।