ইসরায়েলের ছয় সদস্যের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার (১৭ জুন) প্রকাশিত কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক-নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। মন্ত্রিসভা থেকে মধ্যপন্থী নেতা বেনি গান্তজ পদত্যাগের ঘোষণার পর নতুন একটি যুদ্ধ মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল অতি-ডানপন্থী জোটের অংশীদাররা। বেনি গান্তজের পদত্যাগের মাধ্যমে নেতানিয়াহুর অতি ডানপন্থী মন্ত্রিসভার একমাত্র মধ্যপন্থী শক্তিরও বিদায় ঘটে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বেনি গান্তজ। তিনি বলেন, “সত্যিকারের বিজয় অর্জনের পথে আমাদের বাধা দিচ্ছেন নেতানিয়াহু। ভারী হৃদয় নিয়ে কিন্তু পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাই জরুরি সরকার ছেড়ে যাচ্ছি।”
আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এমন নির্বাচন হওয়া উচিত, যা শেষ পর্যন্ত এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, যা জনগণের আস্থা অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। আমি নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানাই, একটি সর্বসম্মত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করুন।”
ইসরায়েলের জাতীয়তাবাদী নেতা ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির যুদ্ধকালীন নতুন মন্ত্রিসভার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের কাছ থেকে সংযমের আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই দুই অতি ডানপন্থী মন্ত্রী।
এদিকে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিতের জন্য দেশের ভেতর-বাইরে অব্যাহত চাপের মুখে রয়েছেন নেতানিয়াহু। তার জোটের কট্টরপন্থী শরিকদের চাপেও রয়েছেন এই ইসরায়েলি নেতা।
স্মোট্রিচ এবং বেন-গাভিরকে গুরুত্ব দিয়ে নেতানিয়াহু নতুন যুদ্ধ মন্ত্রিসভা গঠন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেই মন্ত্রিসভাকেও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কের পরীক্ষা দিতে হবে।