লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপ্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে চালানো বিমান হামলায় সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া শনিবার এক এক্স বার্তায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, “হাসান নাসরুল্লাহ আর বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা করতে পারবেন না।”
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈরুতে বিমান হামলায় তারা হিজবুল্লাহর দীর্ঘকালীন নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। হাসান নাসরুল্লাহ ছাড়াও নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার।
তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ বৈরুতে ইসরাইলের ব্যাপক বিমান হামলার পর হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর নাগাল পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি বলেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করেননি তিনি।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
হিজবুল্লাহর সদর দফতর লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
গতকাল ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ ভাষণে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করার পর বৈরুতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এই তুমুল বিমান হামলা চালানো হয়। গত বুধবার লেবাননে তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।