অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের নিচে থাকা হামাসের টানেলে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে ধারণা করা হয়েছে। হামাস এ সুড়ঙ্গে তাদের বন্দি, যোদ্ধা ও অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে বলে মনে করছে ইসরায়েল।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা গাজায় হামাসের টানেলে সমুদ্রের পানি পাম্প করা শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানায়। তবে পানি ঢোকানোর কাজ শুরু হলেও এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে।
মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, পানি প্রবেশ করানোর এই প্রক্রিয়াটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে সাহায্য করতে পারে। কারণ, ইসরায়েলের বিশ্বাস যোদ্ধা এবং অস্ত্রের পাশাপাশি সেখানকার হামলার সময় আটক হওয়া বন্দিদের সুড়ঙ্গে লুকিয়ে রেখেছে হামাস। এদিকে অন্য কর্মকর্তারা টানেলে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করানো হলে তা গাজার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহকে বিপন্ন করবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলি সেনারা তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এ ছাড়া ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত করার কথা ইসরায়েল বিবেচনা করছে বলে জানা যায়। তখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিন সরকার কর্তৃপক্ষ (পিএ) সতর্ক করে বলে, যদি গাজায় পাম্পের মাধ্যমে সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের পানি দিয়ে ভরা হয়, তাহলে পুরো গাজার ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা জানায়, সুড়ঙ্গে পানি দিলে এগুলোর আশপাশে যেসব ভবন আছে, সেগুলো ধসে পড়বে। যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে।
এছাড়া এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানি ও ময়লা পানির সঙ্গে সমুদ্রের পানির মিশে স্বাস্থ্য বিপর্যয় দেখা দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।