ফিলিপাইনের মিন্দানাও বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামকে স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে আইএস এ তথ্য জানায়।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাও ও তার আশপাশের দ্বীপগুলোতে দেশটির বেশিরভাগ মুসলিম নাগরিক বসবাস করেন। এই অঞ্চলটি ‘মিন্দানাও রিজিয়ন’ নামে পরিচিত।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ রিজিয়নের মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটির ব্যায়ামাগারে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা করা হয়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হন এবং আহত হন আরও ৫০ জন।
হামলার পর তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্দ মার্কোস জেআর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “ফিলিপাইনে এর আগে এত কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘটনা ঘটেনি। বিদেশি সন্ত্রাসীরাই এই হামলার জন্য দায়ী।” তার বিবৃতির পরই টেলিগ্রামে পোস্টের মাধ্যমে আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে।
মিন্দানাও অঞ্চলের লানাও দেল সুর প্রদেশের রাজধানী মারাউইয়ে প্রায় দুই দশক ধরে আইএস সহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী তৎপরতা চালাচ্ছে। ২০১৭ সালে মারাউই দখল করে নিয়েছিল আইএসের ফিলিপাইন শাখা দাওলাহ ইসলামিয়া মাউতে। দখলের পর লানাও দেল সুর প্রদেশকে আইএসের ‘উইলায়াত’ বা প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে দাওলাহ ইসলামিয়া মাউতে।
তবে দেশটির সেনা বাহিনীর তীব্র অভিযানে ৫ মাসের বেশি প্রদেশটিকে দখলে রাখতে পারেনি দাওলাহ। সেই অভিযানে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সেনা অভিযানে পিছু হটার পর থেকে মিন্দানাও অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে হামলা শুরু করে দাওয়লাহ। রোববারের হামলাটিকেও সেই ধরনের হামলা বলে মনে করছেন ফিলিপাইনের সেনাপ্রধান জেনারেল রোমিও ব্রাউনার।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বৈশ্বিক আধ্যাত্মিক নেতা পোপ ফ্রান্সিস এ হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।