ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান নিহত হয়েছেন। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, এর প্রাথমিক কারণ জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বৈরী আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তা। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল প্রেসিডেন্ট রাইসিকে। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের হেলিকপ্টার ইরানের কাছে বিক্রি করার কথা নয়। সে হিসেবে, এটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরোনো।
পল বিভার নামে একজন উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ আল-জাজিরাকে বলেন, “হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে ‘অবশ্যই’ মেঘের আচ্ছাদন, কুয়াশা, জলীয় বাষ্প এবং নিম্ন তাপমাত্রা ভূমিকা রেখেছে। হেলিকপ্টারগুলো ফিক্সড-উইং প্লেনের মতো বিরূপ আবহাওয়ায় সহজে উড়তে পারে না। হেলিকপ্টারে সেই সুবিধা নেই।”
এর আগে রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম, পূর্ব আজারবাইজান গভর্নর-জেনারেল মালেক রহমাতি, রাইসির নিরাপত্তা দলের প্রধান দ্বিতীয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদি মুসাভি, আইআরজিসির আনসার আল-মাহদি বিভাগের সদস্য এবং সেইসঙ্গে অজ্ঞাতনামা পাইলট, কো-পাইলটসহ ক্রু চিফ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।