উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি চুক্তির অংশ হিসেবে ইরানের কারাগারে বন্দী পাঁচ মার্কিন নাগরিক দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দীদের মধ্যে চার পুরুষ ও একজন নারী, যাদের কাছে ইরানের পাসপোর্টও রয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের আটকে থাকা ৬ বিলিয়ন ডলার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দোহার ব্যাংকে পৌঁছালে, বন্দী ৫ মার্কিন নাগরিক একটি বিমানে চড়বেন। দীর্ঘ এক বছর পরোক্ষ আলোচনার পর গত মাসে হওয়া চুক্তির অংশ এটি।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন কারাগারে বন্দী পাঁচ ইরানিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।
ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে আটক মার্কিন নাগরিকদের শীঘ্রই মুক্তি দেওয়া হবে বলে এর আগে একাধিকবার বলা হয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে হচ্ছে অবশেষে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তা বাস্তবায়ন হবে।
বন্দী মার্কিনীদের মধ্যে রয়েছে, ৫১ বছর বয়সী সিয়ামক নামাজি, ৫৯ বছর বয়সী ব্যবসায়ী এমাদ শার্গী ও ৬৭ বছর বয়সী পরিবেশবাদী মোরাদ তাহবাজ, যার ব্রিটিশ নাগরিকত্বও রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দীর্ঘদিন ধরেই বন্দী মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এই চুক্তির ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে তেল বিক্রি থেকে অর্জিত ইরানের অর্থকে মুক্ত হবে। যদিও কাতারের ব্যাঙ্কগুলোতে জমা করা তহবিল শুধুমাত্র তৃতীয় পক্ষের দ্বারা খাদ্য ও ওষুধের মতো পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করা যাবে। বন্দী ও অর্থ বিনিময়ের এই প্রক্রিয়াটি জটিল ও বিতর্কিত।
মার্কিন রিপাবলিকান ও ইরানী অধিকারকর্মীরা চুক্তিটির নিন্দা করে বলছেন, এটি কেবল আরও জিম্মি করাকে উত্সাহিত করবে।
তবে, চুক্তিটি বন্দী ও তাদের প্রিয়জনদের জন্য বিশাল স্বস্তি ও আনন্দের বলে বলা হচ্ছে।