সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে তেহরান। এরইমধ্যে উপযুক্ত জবাব দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইরান। এ অবস্থায় রাইসি প্রশাসনের সামনে নেতানিয়াহু প্রশাসন কতক্ষণ টিকবে বিশ্বজুড়ে তা নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে সোমবার (১ এপ্রিল) হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশ শাখার শীর্ষ জেনারেলসহ ১৩ জন নিহত হন। এ হামলার জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
নিহত জেনারেলদের জানাজার নামাজে অংশ নেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এসময়, হত্যার কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই হত্যার জন্য কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছে ইসরাইলের জন্য।
কূটনৈতিক মিশনে হামলার ওই ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি ইসরাইল। তবে এরইমধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে থাকা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এ ঘটনায় আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে ইরান। আন্তর্জাতিক সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্যমতে, ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরান ১৪তম আর ইসরাইল রয়েছে ১৭তম অবস্থানে।
সমরিক শক্তি কার কেমন
নিয়মিত সেনা
ইরান: ৬ লাখ ১০ হাজার
ইসরায়েল: ১ লাখ ৭০ হাজার
রিজার্ভ সেনা
ইরান: ৩ লাখ ৫০ হাজার
ইসরায়েল: ৪ লাখ ৬৫ হাজার
আধাসামরিক বাহিনী
ইরান: ২ লাখ ২০ হাজার
ইসরায়েল: ৩৫ হাজার
মোট সামরিক উড়োজাহাজ
ইরান: ৫৫১টি
ইসরায়েল: ৬১২টি
যুদ্ধবিমান
ইরান: ১১৬টি
ইসরায়েল: ২৪১টি
হামলায় ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান
ইরান: ২৩টি
ইসরায়েল: ৩৯টি
পরিবহন উড়োজাহাজ
ইরান: ৮৬টি
ইসরায়েল: ১২টি
হেলিকপ্টার
ইরান: ১২৯টি
ইসরায়েল: ১৪৬টি
হামলায় ব্যবহৃত হেলিকপ্টার
ইরান: ১৩টি
ইসরায়েল: ৪৮টি
ট্যাংক
ইরান: ১ হাজার ৯৯৬টি
ইসরায়েল: ১ হাজার ৩৭০টি
সাঁজোয়া যান
ইরান: ৬৫ হাজার ৭৬৫টি
ইসরায়েল: ৪৩ হাজার ৪০৩টি
যুদ্ধজাহাজ (ফ্লিট)
ইরান: ১০১টি
ইসরায়েল: ৬৭টি
সাবমেরিন
ইরান: ১৯টি
ইসরায়েল: ৫টি