ভারত মহাসাগরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজের রাসায়নিক ট্যাংকারে ড্রোন হামলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভিযোগ ড্রোনটি ইরান ছুড়েছে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে করা হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। ট্যাংকারে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
পেন্টাগনের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, জাপানের মালিকানাধীন ‘কেম প্লুটো’ জাহাজটিতে লাইবেরিয়ার পতাকা ছিল। নেদারল্যান্ডস পরিচালিত রাসায়নিক ট্যাংকারটিতে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ইরান থেকে ছোড়া ড্রোনটি আঘাত করে। ভারত উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে ওই ট্যাংকারে ড্রোনটি আঘাত করে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর আঞ্চলটিতে যে উত্তেজনা চলছে তা এ হামলার পর আরও বেড়ে যাবে। জাহাজ চলাচলেও নতুন ঝুঁকি তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছে ইরান ও তাদের সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালের পর থেকে এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্যাংকারে লাগা আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধিদের মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে আক্রমণ চালানোর বিষয়ে এখনো কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোতে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাথে এই হামলাটিও সম্পর্কিত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত অক্টোবরে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম পেন্টাগন খোলাখুলিভাবে ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি জাহাজকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করল।
এছাড়া সমুদ্রপথ বিষয়ক একটি সংস্থা জানিয়েছে, আরব সাগরে হামলার শিকার হওয়া জাহাজটির সঙ্গে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।