লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার খবর প্রকাশের পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, “প্রতিশোধ ছাড়া ছেড়ে দেওয়া হবে না।”
হিজবুল্লাহর প্রধানকে ‘শহিদ’ উল্লেখ করে তার হত্যার ঘটনায় ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন খামেনি। তিনি বলেন, “হাসান নাসরুল্লাহর চিন্তাধারা ও দেখিয়ে যাওয়া পথ অটুট রাখা হবে।”
গেল কয়েক দিন ধরে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতভর রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় তারা ১৪০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৈরুতে শুক্রবারের হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের একজন জেনারেল নিহত হয়েছেন। এরপর হিজবুল্লাহপ্রধানের নিহত হওয়ার খবর জানা যায়।
এর আগে জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া। হানিয়াকে হত্যার পেছনে ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান ও হামাস।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের কাছে হামাস ও হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন।