ভারতের ১২টি কোম্পানির প্যাকেটজাত দারুচিনি গুঁড়া ও গরম মশলায় মিলেছে উচ্চ মাত্রায় সিসা। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। উচ্চ মাত্রায় সিসা শরীরে গেলে কিডনির অসুখের ঝুঁকি বাড়ে, হার্ট ও লিভারের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
কনজিউমার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘পারস’, ‘ইজিএন’, ‘মিমি’জ প্রোডাক্ট’, ‘বোল অ্যান্ড বাস্কেট’, ‘রানি ব্র্যান্ড’, ‘জারা ফুডস্’, ‘থ্রি রিভার্স’, ‘ইউ ই ব্র্যান্ড’, ‘বেইলিফেং’, ‘স্পাইসি কিং’, ‘বড়িয়া অ্যান্ড ডিপ’— এই সব কোম্পানির দারুচিনি গুঁড়া ও গরম মশলায় উচ্চমাত্রায় সিসা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ‘পারস’-এর মশলায় সবচেয়ে বেশি সিসা (৩.৫২ পার্টস পার মিলিয়ন বা পিপিএম) পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
‘ফুড সেফটি রিসার্চ অ্যান্ড টেস্টিংয়ের ডিরেক্টর জেমস রজার্স জানিয়েছেন, এই সব কোম্পানির আধ চা চামচেরও অর্ধেক মাত্রায় মশলায় যে পরিমাণ সিসা পাওয়া গেছে তা এক জন ব্যক্তির শরীরে সারা দিনে যে মাত্রায় সিসা যাওয়া উচিত, তার থেকে বেশি।
দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে প্রতি দিন ১২.৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা প্রবেশ করলে তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। শিশুদের ক্ষেত্রে সারা দিনে ০.৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা প্রবেশ যেন না করে, সে দিকেও নজর রাখা জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা প্রবেশ করলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে হার্ট, স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনির অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। অন্তঃসত্ত্বাদের শরীরে অতি মাত্রায় সিসা প্রবেশ করলে গর্ভপাতেরও আশঙ্কা তৈরি হয়।
