ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। ২০২২ সালে ভারতে মোট ২৮ জন ৫২২ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সে হিসেবে প্রতিদিন ৭৮ জন মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিবাদকে হত্যার কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। অন্যান্য কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত শত্রুতা, যৌতুক, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, ডাইনিপ্রথা, নরবলি, ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, জাতিগত কারণ, রাজনৈতিক কারণ, শ্রেণি বিবাদ, অনার কিলিং এবং প্রেমের সম্পর্ককে ধরা হচ্ছে।
২০২২ সালে ভারতে ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, এ রাজ্যে ২০২২ সালে ৩ হাজার ৪৯১টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর পরবর্তী স্থানে রয়েছে বিহার। সেখানে মোট ২ হাজার ৯৩০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তালিকার তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র (২ হাজার ২৯৫টি হত্যা), চতুর্থ স্থানে মধ্যপ্রদেশ (১ হাজার ৯৭৮টি হত্যা), পঞ্চম স্থানে রাজস্থান (১ হাজার ৮৩৪টি হত্যা) এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (১ হাজার ৬৯৬টি হত্যা)।
তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে এ হত্যার সংখ্যা অনেক কম। গত বছর সিকিমে মোট ৯টি হত্যাকাণ্ড, নাগাল্যান্ডে ২১টি, মিজোরামে ৩১টি ও মণিপুরে ৪৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ছাড়া গোয়াতে ৪৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত এসকল ব্যক্তিদের ৯৪ দশমিক ৪ শতাংশই প্রাপ্তবয়স্ক এবং এদের মধ্যে ৭০ শতাংশই পুরুষ। এ ছাড়া নারী নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ১২৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা ৯ জন।